৬ মে, ২০১৮খ্রিঃ তারিখ রবিবার বিকাল ৫:০০ ঘটিকায় বুদ্ধ পূর্ণিমা-২০১৮ উপলক্ষে গণভবনে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ -এর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ত্রিপিঠক পাঠ করেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুনন্দপ্রিয় ভিক্ষু।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ট্রাস্টি মিসেস বাসন্তি চাকমা, ট্রাস্টি মি. দীপক বিকাশ চাকমা, ট্রাস্টি মি. মং ক্য চিং চৌধুরী , ট্রাস্টি খে মংলা রাখাইন এবং ট্রাস্ট সচিব মি. জয়দত্ত বডুয়া।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর তৈল চিত্র প্রদান করেন সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়ুয়া।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের রাজা কর্তৃক প্রদত্ত ১টি বুদ্ধ মূর্তি প্রদান করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মি. সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ সুনন্দপ্রিয় ভিক্ষু।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মি.দয়াল কুমার বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে আর্শীবাণী প্রদান করেন ধর্মীয় গুরু সংঘনায়ক শ্রীমৎ শূদ্ধানন্দ মহাথের ও উপসংঘরাজ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের।
এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত ট্রাস্টি মি.দয়াল কুমার বড়ুয়া বাংলাদেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গা জনগণের সাহার্যার্থে ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকার একটি চেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে অর্পন করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান মি.সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মি. বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এম. পি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মহোদয় ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত। এ দেশে সকল ধর্মের জনগণ সমানভাবে ধর্মীয় অধিকার ভোগ করছে। তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনার কোনদিন নিজেদের সংখ্যালগু হিসেবে ভেবে নিজেদেরকে ছোট করবেন না, নিজেদের ছোট ভাবলে মন ছোট ও দুর্বল হয়ে যায়। আপনারা স্বাধীনদেশের স্বাধীন নাগরিক। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের অধিকার সমান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িকতা দেখে মিয়ানমার -এর লজ্জা পাওয়া উচিৎ”। বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আনিছুর রহমান, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মি. সম্পদ বড়ুয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মি. নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সাবেক সাংসদ মিসেস এথিন রাখাইন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মি. দিলীপ বড়ুয়া, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রস্টের প্রতিনিধি এবং সকল স্তরের বৌদ্ধ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বৌদ্ধ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবি, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, মহিলা নেতৃবৃন্দ ও রাজনীতিবিদসহ সকল পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উর্ধঃতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।